Wednesday, September 3, 2025

টিএসসিতে শিবিরের প্রদর্শনী নিয়ে ছাত্রদল সেক্রেটারির পোস্ট

আরও পড়ুন

ছাত্রশিবির হচ্ছে একাত্তরের গণহত্যাকারী ছাত্রসংঘ ও আল-বদর বাহিনীর উত্তরসূরী। এমনটা বলেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার উদ্যোগে টিএসসিতে ‘বিচারিক হত্যাকাণ্ড’ নামে আয়োজিত এক প্রদর্শনীর একাংশ নিয়ে বাধে বিপত্তি। মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডিতদের ছবি সেখানে দেখা গেলে সমালোচনার ঝড় ওঠে সামাজিকমাধ্যমে। পরে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে সরানো হয় সেসব ছবি।

এ প্রসঙ্গে রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে এক পোস্ট দেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক (সেক্রেটারি) নাছির উদ্দীন নাছির।

আরও পড়ুনঃ  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, টেঁটাবিদ্ধসহ আহত শতাধিক

তিনি লেখেন, ইসলামী ছাত্রশিবির হচ্ছে একাত্তরের গণহত্যাকারী ছাত্রসংঘ ও আল-বদর বাহিনীর উত্তরসূরী। অতীতে শিবির একজন আলবদর কমান্ডারকে ডাকসুর ভিপি প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছিল। তাদের দলীয় প্রকাশনাতেও তারা স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য ছাপিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ভিত্তি রচিত হয়েছে উল্লেখ করে নাছির উদ্দীন নাছির লেখেন, বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা সর্বপ্রথম উত্তোলন করা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে আজ ছাত্রশিবির স্বাধীনতা বিরোধী এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন গণহত্যার উস্কানিদাতা নিজামী, মুজাহিদ, গোলাম আযমসহ আত্মস্বীকৃত স্বাধীনতা বিরোধীদের ছবি টানিয়ে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে অপদস্থ করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আরও পড়ুনঃ  যৌথ বাহিনীর অভিযানে সাত দিনে গ্রেপ্তার ২৮৮জন

ছাত্রদল সেক্রেটারি আরও লেখেন– ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন, ভাইস চ্যান্সেলর ও প্রক্টর মহোদয় শিবিরকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। প্রশাসনের প্রশ্রয় পেয়ে তারা টিএসসিতে এতো বড় জঘন্য কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অপমান করেছে। দেশের সকল নাগরিকের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। শিবিরের এই আয়োজনের দায় ভিসি-প্রক্টর এড়াতে পারেন না। এছাড়াও তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড, সাম্য হত্যাকাণ্ড, শেখ হাসিনার গ্রাফিতি মোছাসহ নানাবিধ ঘটনায় ভিসি ও প্রক্টরের অদক্ষতা, নিষ্ক্রিয়তা এবং মব ও গুপ্ত সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা প্রমাণিত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এতে হতাশ ও বিক্ষুব্ধ।

আরও পড়ুনঃ  সিনেমা দেখতে এসে প্রেমিকাকে হারিয়ে কাঁদতে কাঁদতে যা বললেন তরুণ

তিনি লেখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো সংগঠনের কর্মসূচির জন্য প্রক্টরের অনুমতি গ্রহণ করতে হয়। পুরো কর্মসূচির বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করে প্রক্টর অনুমতি প্রদান করেন। আজকের ঘটনা থেকে স্পষ্ট যে প্রক্টরের অনুমতি, সম্মতি ও পৃষ্ঠপোষকতায় শিবির টিএসসিতে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আল-বদর বাহিনীর ছবি টানিয়েছে। প্রক্টরকে এই ঘটনার দায় স্বীকার করে জবাবদিহি করতে হবে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ