ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতির মাঠে এখন কেবলই ভোটের হিসাব। নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় সরব হয়ে উঠেছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এ অবস্থায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সর্বশেষ পরিস্থিতি কী, তা উঠে এসেছে এক জনমত।
‘গণভাবনা’ নামের একটি অস্ট্রেলিয়া ও জার্মানিভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গত জুন মাসে এই জরিপটি পরিচালনা করে। এতে ওই আসনের ২ হাজার ১৩৯ জন বৈধ ভোটার অংশ নেন, যার মধ্যে ৫৮ শতাংশ পুরুষ ও ৪২ শতাংশ নারী ছিলেন।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ আসনের শতকরা ৫৩ ভাগেরও বেশি মানুষ মনে করেন বিএনপি বিজয়ী হবেন। ২২ ভাগ মনে করেন জামায়াত ও সাড়ে ৩ ভাগ মনে করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিজয়।
১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যারা বিএনপির সমর্থক হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করেছেন, তাদের মধ্যে বিএনপি প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের জনপ্রিয়তা যাচাই করা হয়। শতকরা ৯০ ভাগ শাহজাহান মিয়া, ২ ভাগ আশরাফুল, ২ ভাগ শাহীন শওকত, ১ ভাগ সাদিকুল ও ১ ভাগেরও কম সমর্থন পেয়েছেন বেলাল-ই-বাকি।
অর্থাৎ বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে শাহজাহান মিয়া জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে পছন্দের প্রার্থী। তিনি সব ইউনিয়নেই বিএনপির অন্যান্য প্রার্থী হতে যারা ইচ্ছুক ও জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থীর চেয়ে বড় ব্যবধানে জনপ্রিয়তার হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন।
একইভাবে জামায়াতের সমর্থকদের মধ্যে চালানো জরিপে ৪১ দশমিক ৯ শতাংশ কেরামতের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
তবে জরিপে অংশ নেওয়া ৫৩ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ তাদের সিদ্ধান্ত জানাতে
এদিকে সব দলের সমর্থক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে পছন্দের প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে রয়েছেন শাহজাহান মিয়া (৩৪ দশমিক ৯ শতাংশ), তার পরেই রয়েছেন জামায়াতের কেরামত (১৭ শতাংশ)। তবে শতকরা ৪৪ ভাগ মানুষ তাদের সিদ্ধান্ত জানাননি।
তবে দল হিসেবে নারী ভোটারদের কাছে জামায়াত জনপ্রিয়। কিন্তু প্রার্থী হিসেবে শাহজাহান মিয়া জামায়াত প্রার্থী কেরামতের চেয়েও বেশি পছন্দের।
জরিপে প্রায় ৩৮ শতাংশ ভোটার মনে করেন, আওয়ামী লীগের ভোটাররা বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শাহজাহান মিয়ার দিকে ঝুঁকতে পারেন। এসব ভোটারদের প্রধান চাহিদা অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ।
অন্যদিকে ৭২ শতাংশ ভোটার জানিয়েছেন, তারা কোনো সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারের মতামত অনুসরণ করেন না।