জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আহত ও কোরআনের হাফেজ মোহাম্মদ হাসান (২৩) প্রথম জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ মে) রাত ১০টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এই জানাজার নামাজে ইমামতি করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম। এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন শিবিরের এই নেতা।
জানাজার নামাজে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জোনায়েদ, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান, ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
শহিদ পরিবারের অনুরোধক্রমে জানাযার নামাজে ইমামতি করেন শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম। শহিদ হাসানের মায়ের ইচ্ছানুযায়ী তাকে আগামীকাল রোববার (২৫ মে) সকাল ৯টায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচরে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট চট্টগ্রামের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত হাসানকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকার সিএমএইচে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে তাকে সে দেশের পায়াথাই পাহোলিওথিন হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১০ মিনিটে হাসান মৃত্যুবরণ করেন।
এর আগে থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যোদ্ধা শহীদ মো. হাসানের মরদেহ শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসে। সেখানে তাকে রিসিভ করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) ও মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী এবং মরহুমের পরিবারের সদস্যসহ লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর তার মরদেহ নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে রাত ৯টার পরে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়ে।